নাজিম উদ্দিন আলম কলেজ সহ ৩ কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা

সাহাবুদ্দিন সিকদার প্রকাশিত: ২৩ জুন , ২০২৫ ১৪:২১ আপডেট: ২৩ জুন , ২০২৫ ১৪:২১ পিএম
নাজিম উদ্দিন আলম কলেজ সহ ৩ কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা

চরফ্যাসনে তিন কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান-২০২৫
অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজগুলো হচ্ছে রসুলপুর নাজিম উদ্দিন আলম ডিগ্রি কলেজ,বেগম রহিমা ইসলাম কলেজ ও জনতা বাজার শহিদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ।রবিবার সকাল ১০টায় রসুলপুর নাজিম উদ্দিন আলম কলেজের হলরুমে, বেলা ১১টায় বেগম রহিমা ইসলাম কলেজে ও পৌনে ১২টায় জনতা বাজার শহিদ জিয়াউর রহমান কলেজে এসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কলেজ কর্তৃপক্ষ ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্র্যাচ প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রধান অতিথি নাজিম উদ্দিন আলম সাহেবকে বরন করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন আলম তার বক্তৃতায় বলেন বহু কষ্ট করে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে এ কলেজটি নির্মান করেছি। তখন চরফ্যাসনে একটি মাত্র কলেজ ছিল। তখন অনেক বেকারদের চাকরির সুযোগ হয়েছে। আজ তাদের অনেকে মীর জাফর হয়ে সব ভূলে গেছে। তারা বিভিন্ন দলের ব্যানারে গিয়ে আবার ষড়যন্ত্র করছে। এদেরকে প্রতিহত করে বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। নাজিম উদ্দিন আলম বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা দেশের আগামীর ভবিষ্যত। তোমাদের গোলাপের সৌরভে দেশ এগিয়ে যাবে। সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ, মাদকমুক্ত দেশ গড়তে তোমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। তানাহলে দেশ পরিবর্তনে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই শিক্ষার্থিদের লেখা পড়ায় মনোনিবেশ হতে হবে। নকলমুক্ত পরিক্ষা দিতে হবে। মেধা দিয়ে সব করতে হবে। স্বৈরাচার সরকারের আমলে নকলে সয়লাব ছিলো। এখন থেকে আমরা তা করতে চাইনা, করতে দেবনা। 
এদিকে বেলা ১১টায় একই এলাকার শশীভূষন বেগম রহিমা ইসলাম কলেজে মাহাদি হাসান জুয়েলের সভাতিত্বে একই রকমের বিদায়ি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অত্র কলেজে সেখানেও প্রধান অতিথি হিসেবে ছাত্র- চাত্রীদের দিক নির্দেশনামুলক গুরুত্বপুর্ন ভাষন দেন।
এছাড়া দুপুর পৌনে ১টায় নাজিম উদ্দিন আলম সাহেবের হাতে প্রতিষ্ঠিত জনতা বাজার শহিদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইউনুস শরিফের সভাপতিত্বে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তিতি বক্তৃতায় বলেন, আমি জনগনের ভোটে তিনবার নির্বাচিত হয়েছি। আরো তিনবার নির্বাচন করেছি। স্বৈরাচার সরকার আমাকে নির্বাচিত হতে দেয়নি। এ কলেজের নাম পর্যন্ত পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। কলেজের অধ্যক্ষকে অনেক হয়রানি করেছে। তাদেরকে আজ আল্লাহ গজব নাজিল করেছেন। তাই তারা দেশ ছেড়ে পালাইছে। আমরা তা করবোনা। আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারন করে চলতে হবে। কাউকে জুলুম নির্যাতন করব না। মাদক,সন্ত্রাস,চাদাবাজদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তানাহলে যুব সমাজকে রক্ষা করা যাবে না। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। 
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ,উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুর রহমান দিপু ফরাজি, যুবদলের সাবেক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম দুলাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মীর সাহাদাত হোসেন ছায়েদ, শ্রমিক দলের সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদ,বিএনপির সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক সামছুদ্দিন কাউছ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo