‎ফরিদগঞ্জে মাদক কারবারিদের হাতে মোস্তফা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

জাকির হোসেন সৈকত প্রকাশিত: ২৩ জুন , ২০২৫ ১৪:২৩ আপডেট: ২৩ জুন , ২০২৫ ১৪:২৩ পিএম
‎ফরিদগঞ্জে মাদক কারবারিদের হাতে মোস্তফা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

‎ চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জে মাদক কারবারিদের হাতে সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. মোস্তফা (২৭) হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। (রবিবার, ২২ জুন বিকালে) ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শাশিয়ালী গ্রামে এই প্রতিবাদ কর্মসূচী পালিত হয়।

‎মানববন্ধনে ও বিক্ষোভ মিছিলে নিহত মোস্তফার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং শত শত গ্রামবাসী অংশ নেন। মোস্তফা হত্যার বিচার চাই", "মাদক কারবারিদের ফাঁসি চাই"। এই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।  বিক্ষোভকারীরা মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

‎এসময় বক্তারা বলেন, "ফরিদগঞ্জে মাদকের বিস্তার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। মাদক কারবারিরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে তারা এখন প্রকাশ্যে মানুষকে হত্যা করতেও দ্বিধা করছে না। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের কাছে অনতিবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।"

‎জানা যায়, গত ১৮ জুন রাতে মাদক কারবারিদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর ১৯ জুন ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোস্তফা। তিনি শাশিয়ালী গ্রামের মৃত দিদার হোসেনের ছেলে এবং এক সন্তানের জনক ছিলেন।

‎নিহত মোস্তফার ভাই মো. আলাউদ্দিন গত ১৬ জুন ৪ জনকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের মধ্যে পিতা-পুত্রসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। তবে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পিতা আবুল হোসেন ও ছেলে রুবেল জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। মামলার প্রধান আসামি সোহেল এখনো পলাতক রয়েছে। আমার ভাই হত্যাকারীতে দ্রুত বিচার দাবি করছে।

‎উল্লেখিত , গত ১২ জুন রাতে স্থানীয় চিহ্নিত মাদক কারবারি সোহেল ও তার সহযোগীরা মোস্তফাকে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর ও পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়, যা তার কিডনিতে গুরুতর আঘাত করে। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল সোহেলের ভাই ফয়সালের একটি আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে। ফয়সাল এক দোকানির কাছ থেকে ৪,৬০০ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেন। ওই দোকানি মোস্তফার আত্মীয় হওয়ায় মোস্তফা এই বিষয়টি নিয়ে সোহেলদের সঙ্গে কথা বলতে যান। এর জের ধরেই মোস্তফাকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হামলা চালানো হয়।

‎গুরুতর আহত অবস্থায় মোস্তফাকে প্রথমে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo